-->
This is Practicum 1.1.5 Understanding discipline and Subjects.
Topic- Assignment Submission: Science in day-to-day life.
B.ED 1st SEMESTER PRACTICUM PDF FILE provides on the given bellow for 1.1.5 paper. The Practicum for WBUTTEPA or West Bengal University of Teachers' Training, Education Planning and Administration.
Image: Science in day-to-day life; WBUTTEPA 1ST SEM PRACTICUM.
Image: Science in day-to-day life; WBUTTEPA 1ST SEM PRACTICUM.


We choose the topic of daily life science for an easy-to-write practicum.

কৃতজ্ঞতা স্বীকার (Acknowledgment of gratitude)

B.ED এর নতুন পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানমূলক তথ্য আরোহণের সাথে সাথে ব্যবহারিক জ্ঞান কে ব্যবহার করে পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য দেয়া হয়েছে। 

আমার এই প্র্যাকটিকাম টি রূপায়নের ক্ষেত্রে যিনি সামগ্রিকভাবে সহায়তা করেছেন।  তিনি হলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় গ্রন্থ প্রদর্শক গৌতম দাস মহাশয়। প্রাক্টিকাম কি ধারণা তৈরী বিষয় নির্বাচন তথ্য সংগ্রহ সহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে একটি সমৃদ্ধ করে সাহায্য করেছেন। এইজন্য আমি গৌতম দাস মহাশয় কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের কলেজের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এবং সহপাঠী বৃন্দকে যাদের সাহায্য ছাড়া আমার এই কাজটি করা সম্ভব হতো না। 

তারিখ -

শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর-

বিষয় সংক্ষেপ (Summary of topics)

বিজ্ঞানীদের স্বতন্ত্র তপস্যার ফলে আজ বিজ্ঞানের বিষয় বৈজন্তী জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে স্বমহিমায় উচিত। বিজ্ঞান তার জাদুতে মোড়কে রূপান্তরিত করেছে সবুজ প্রান্তরে, দুরন্ত নদীর জলধারাকে বন্দি করে সহায়তা করেছে শেষ কার্য যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করেছিল এনেছে বিপ্লব সমগ্র বিশ্বকে এনে দিয়েছে এক ছাতার তলায়। চিকিৎসা, শিল্প, কৃষি, গবেষণা, শিক্ষা, ঔষধ, সেবা, পরিবহন, পোশাক, বাসস্থান নির্মাণের, ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আজ প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে।  তাই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দৈনন্দিন জীবনে তাই আজ ধ্বনিত হচ্ছে বিজ্ঞানের জয়গান। 

ভূমিকা (Introduction)

ইংরেজি শব্দ Science কথাটি ল্যাটিন Scientia শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ জ্ঞান।  বিজ্ঞান হল একটি বিশেষ জ্ঞান।  বিজ্ঞান হল একটি বিষয় যা সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সম্প্রতিক সাধারণ সূত্র গুলি প্রণয়ন করার জন্য পর্যবেক্ষণ ঘটনাবলীকে আহরণ এবং শ্রেণিকরণ করে। বিজ্ঞান হল সেই আশ্চর্য প্রদীপ যা দাঁড়ায় অনায়াসে অসাধ্য সাধন করা যায়।  প্রত্যাহিক জীবনে বিজ্ঞানের ব্যবহার করা হয় ঘুম থেকে উঠে রাত্রে শোয়ার আগে পর্যন্ত।  অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আধুনিক জীবনে একটি মুহূর্তও বিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়া চলা অসম্ভব। বিজ্ঞানের আশীর্বাদ পুষ্ট মানবজীবন আজ সুখ-সমৃদ্ধি চরম শিখরে পৌঁছেছে।  বিজ্ঞানীদের স্বতন্ত্র অবস্থার ফলে আজ বিজ্ঞানের জলে-স্থলে- অন্তরীক্ষে স্বমহিমায় উন্নয়ন। 


বিষয়বস্তুর তাৎপর্য (The significance of the content)

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান আলোচনা তাক পর্যায় গুলি হল—---


  1. দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান আমাদের কিভাবে প্রতিটি মুহূর্তে সাহায্য করেছে তা অনুধাবন করা
  2. মানুষের জীবনে বিজ্ঞান কতটা প্রয়োগ করতে হবে তার ধারণা তৈরি করা।
  3. প্রতিদিনের জীবনে বিজ্ঞান কিভাবে মানুষ ও সমাজ জীবনের আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে আর তার সম্বন্ধে জানতে শেখা।
  4. কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থায় বিজ্ঞান কিভাবে সাহায্য করে তা অনুধাবন করা। 

বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ (Content analysis)

বিজ্ঞানের ধারণা ও প্রকৃতি (The concept and nature of science)

বিজ্ঞানকে নির্দিষ্ট সংখ্যার মাধ্যমে সমাহিত করা যায় না।  বহু বিজ্ঞানীগণ বিভিন্নভাবে বিজ্ঞানের ধারণা দিয়েছেন। 

বিজ্ঞানী আইনস্টাইন (Albert Einstein) এর মতে

“The attempt to make the chaotic diversity of our sense-experience correspond to a logical uniform system of thought.” 

পর্যবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভৌত ও প্রকৃতির জগতের গঠন ও আচরণ কে নিয়ে চর্চা উদ্দেশ্যে বৌদ্ধিক ও ব্যবহারিক কার্যকলাপ তাই হল বিজ্ঞান। 

প্রকৃতি (Nature):

  1. বিজ্ঞান চর্চা পরিকল্পিত পন্থায় অগ্রসর হয়।
  2. বিজ্ঞান চর্চায় বিষয় হলো প্রকৃতি ও ভৌত জগত। সুতরাং সম্ভ্রমহানি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের বিষয়।
  3. বিজ্ঞানের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হলো সূত্রপাত অর্থ নির্ণয়।
  4. বৈজ্ঞানিক আরোহ পদ্ধতি সুনির্দিষ্ট।
  5. বিজ্ঞানের চূড়ান্ত লক্ষ্য প্রকৃত  সত্যকে যুক্তি প্রমাণের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করা।


বিজ্ঞানের ইতিহাস (History of science)

বিজ্ঞানের ইতিহাস অতি প্রাচীন বাস্তবিক প্রাচীন সভ্যতা গুলির সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত ঘটে। 

প্রাচীন যুগ (Science in Ancient times):

প্রাচীন যুগে অভিজ্ঞান তার অবদান রেখেছিল।  মোটামুটি ভাবে খ্রিস্টপূর্বাব্দ 2000 পূর্বাব্দ চতুর্থ-পঞ্চম শতাব্দি পর্যন্ত বিজ্ঞানের প্রাচীন যুগ মনে করা হয়।প্রাচীন যুগে বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম প্রধান বিষয় জ্যোতিষ বিদ্যা।  চীন ও ভারতবর্ষে, আমেরিকায় জ্যোতিষ বিদ্যা চর্চা ছিল প্রধানত ধর্মীয় প্রয়োজনে। ভারতবর্ষে গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি আরো বিশেষভাবে চন্দ্র-সূর্যের গতিবিধি রাশি গুলির অবস্থান ও সঞ্চার ইত্যাদি নির্ণয় করার জন্য বিজ্ঞান এর আবির্ভাব হয়। অ্যারিস্টোটল (Aristotle), আর্কিমিডিস (Archimedes) হলেন উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞানীগণ।

মধ্যযুগ (Science in Middle Ages):

মধ্যযুগে ইউরোপে বিজ্ঞানের প্রকৃতি যাত্রা শুরু। দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে বিজ্ঞানের নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি বিজ্ঞানীদের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়।  মধ্যযুগের যন্ত্রের আবিষ্কার করা তা অন্যতম নিদর্শন।  চতুর্থদশ শতাব্দীতে নির্ভুল সময় মাপার জন্য ঘড়ির আবিষ্কার হয়।  রামধনুর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ হয় এবং তার মধ্যে আলোক সম্পর্কীয় ধারণা আছে।  গতির সম্পর্কে গবেষণা করেন। 

আধুনিক যুগ (Science in Modern age):

1687 খ্রিস্টপূর্বাব্দ নিউটনের ম্যাথমেটিক্যাল প্রিন্সিপাল অফ ন্যাচারাল ফিলোজফি( ‘Mathematicis Principle of Nutral Philosophy’) প্রকাশিত হয়।  মধ্যাকর্ষণ তত্ত্বের সূত্রপাত হয়। গতি সম্পর্কিত তার তিনটি সূত্র আজও বিজ্ঞানের পাঠ্যবিষয় ক্যালকুলাসের উদ্ভাবন আরেকটি নিদর্শনঃ। চার্লস বয়েলের, লাভলেস ইয়ার, ডারউইনের বিখ্যাত বিজ্ঞানী তাদের বিভিন্ন তথ্যাবলী বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে।

ডারউইনের অরিজিন অফ স্পিসিস (Origin of Species’) John Gregor Mendel এর গবেষণার বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে যুগান্তর ঘটায়।  অষ্টাদশ শতাব্দী শিল্প বিপ্লব আরো একটি নিদর্শন।  হাজার 905 সালে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব থিওরি অফ রিলেটিভিটি (Theory of Relativity) প্রকাশ বিজ্ঞানের শাখা কে আরও সমৃদ্ধ করেছে।  বিংশ শতাব্দীতে কম্পিউটার (Computer), ইন্টারনেট (Internet), স্যাটেলাইট ব্যবহার আধুনিক জীবনকে আরও গতিময় করে  দিয়েছে। 

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান (Science in everyday life)

বর্তমান যুগে বিজ্ঞানের দান অপরিসীম।  আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় বিজ্ঞান এনে দিয়েছে আরো গতি এনে দিয়েছে আরো  সমৃদ্ধি।  আধুনিক জীবনের একটি মুহূর্ত বিজ্ঞান ছাড়া চলা অসম্ভব।  ঘুমের মধ্যে বিজ্ঞান এলাম দিয়ে জাগিয়ে দেয় সারাদিন তার নানাবিধি প্রয়োজনে আমরা কুড়িয়ে নি। বর্তমান জীবন যাত্রায় আমরা বিজ্ঞানের উপর প্রতিটি মুহূর্ত নির্ভরশীল।

1. প্রাতঃকালীন ক্রিয়া কর্ম ও বিজ্ঞান (Morning action and science):

 সকালে উঠে হাত মুখ ধোয়ার জন্য টুথপেস্টটুথব্রাশটুথপাউডার ইত্যাদি যা-ই ব্যবহার করিনা কেন তাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ।হাত মুখ ধোয়া টয়লেট ব্যবহার প্রভৃতির ক্ষেত্রে যেসব উপাদান রয়েছে সেই বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তৈরি হয়েছে।  এই ক্ষেত্রে রসায়ন পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতের যথাযথ প্রয়োগ রয়েছে।  দিনের শুরুতে যে এলাম ঘড়ি টি তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় সেখানেও জড়িয়ে আছে বিজ্ঞান। স্নানের ঘরে গিজার বা শাওয়ার সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের সংস্পর্শ বর্তমান। 

2. খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বিজ্ঞান (Food production and science):

আমাদের জীবনধারণের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজন যার মধ্যে প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট যেগুলি উপাদানের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানসম্মত প্রয়োগকে কাজে লাগানো হয়েছে।  শুধু খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনে নয়, উৎপন্ন খাদ্য দ্রব্য খাদ্যযোগ্য করার জন্য প্রয়োজন তার রান্না।  এইজন্য আছে জ্বালানি (যেমন- LPG  ),  তড়িৎ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন মাইক্রোওভেন (Microoven), ইন্ডাকশন (Induction cooker) ইত্যাদি।  খাদ্যদ্রব্য তৈরি করার জন্য বর্তমানে মডিউলার কিচেন (Moduliar Kichen ) তৈরি করা হচ্ছে

খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর or Refrigerators সবক্ষেত্রেই আজ বিজ্ঞানের অবদান। 

3. গৃহসজ্জায় বিজ্ঞান (Science in home decor):

আমাদের প্রতিদিনের গৃহসজ্জার উপকরণ হলো বিজ্ঞান।  দেওয়ালের ঘড়ি, ড্রেসিং টেবিল, পোশাক রাখার স্থান, বৈদ্যুতিক পাখা, টেলিভিশন, মিউজিক সিস্টেম, ফ্রিজ, রেডিও, ঘর সাজানোর উপকরণ বিজ্ঞানের দান।

4. সেবা কার্যে বিজ্ঞান (Science in Health work):

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা  ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও আমরা গিয়েছি তার যথার্থ শুফল।আধুনিক বিজ্ঞানের এক্ষেত্রে বিশেষত ওষুধ ও শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে এসেছে যুগান্তর।  বিজ্ঞানের প্রসারের ফলে ওষুধ জগতে এসেছে বিভিন্ন প্রকারের এন্টিবায়োটিক (Antibiotics) ওষুধ যেমন পেনিসিলিন (Penicillin discovery), এমপিসিলিন ইত্যাদি। এছাড়াও বেদনাদায়ক ঔষধ অ্যান্টিসেপটিক (Antiseptic), ঔষধ অ্যান্টাসিড (Antacid tablet) বিভিন্ন ধরনের ঔষধ আবিষ্কার হয়েছে।  বিভিন্ন প্রাণীর উপজাতি পদার্থ থেকে বিভিন্নভাবে ঔষধ আবিষ্কার হয়েছে।  যেমন সাপের বিষ থেকে ল্যাকেসিস।এছাড়াও বিজ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে রোগ নিরূপণ এর ক্ষেত্রেও বিভিন্ন রকম যন্ত্র যেমন এক্স রশ্মি (X-Ray) ইসিজি (ECG) পেসমেকার (Pacemaker of heart is called) ইত্যাদি আবিষ্কার হয়েছে।  এর ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি ঘটেছে। 

 অ্যাম্বুলেন্স বা সেবাযাত্রা, নার্সিংহোম, হাসপাতাল, চিকিৎসা সরঞ্জাম, এক্সরে, রোগ নির্ণয়, রোগ নিরাময়, সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান অপরিসীম

Image: Science in Health work; Ambulance is a use in Transportation of Patient.
Image: Science in Health work; Ambulance is a use in Transportation of Patient. 


চিকিৎসা বিজ্ঞানের নুনু নতুন গবেষণার জন্য এসেছে নানান জীবনদায়ী ঔষধ মানুষ ফিরে পৌঁছেছে নিজের প্রাণে তাই দৈনন্দিন জীবনে চলছে জীবনের জয়গান।

5. বিদ্যুতে বিজ্ঞানের অবদান (The contribution of science to electricity):

মানুষের চিন্তার ফলশ্রুতিতে বিজ্ঞানের হাত ধরি আজ এসেছে বিদ্যুৎ। মানবজীবনে সর্বক্ষেত্রেই উপহারটির জন্য আমরা  বিজ্ঞানের নিকট অবশ্যই রিনি। আমাদের জীবনে নানা সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের একটি নিত্য সঙ্গী বিদ্যুৎ। বৈদ্যুতিক আলো, বৈদ্যুতিক পাখা, টেলিভিশন, টেলিফোন, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, প্রত্যেক ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক এর অবদান অনস্বীকার্য কারখানা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, পরিবহন- যানবাহন জ্বালানির বিকল্প উপায় উদ্ভাবন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ আমাদের নিত্য সঙ্গী।

6. পোশাক পরিচ্ছদের বিজ্ঞান (The science of costumes):

আদিম যুগের পোশাকহীন মানুষের দেহের বিজ্ঞান তুলে দিয়েছে আধুনিক  বস্ত্র।  কিছুদিন আগে পর্যন্ত মানুষজন অতি সাধারণ পোশাক ব্যবহার করত।  কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পলিমারিক পদার্থ দিয়ে পোশাক তৈরি করা হচ্ছে।  বিভিন্ন আকার আকৃতি রঙ বে রঙের পোশাক ছেলে মেয়ে বয়স্ক সবার জন্য বাজারে এসেছে।  নিত্যব্যবহার্য পোশাকের ক্ষেত্রে এগুলো ও ব্যবহার বাড়ছে। 

 7. বাসস্থান নির্মাণে বিজ্ঞান (The science of housing construction):

আগের মানুষ কোনরকম মাথা গোঁজার জন্য ব্যবহার করত মাটির ঘর পাতা কার্ড ইত্যাদি দ্বারা তৈরি বাড়ি। বর্তমানে তার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে।  বর্তমানে অনেকের বাড়ি কংক্রিটের যেমন ইট, পাথর, সিমেন্ট দিয়ে তৈরি বাড়িতে থাকছে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য। বর্তমানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (Civil Engineering) এবং আর্কিটেকচার (Architecture) দের পরিকল্পনা মাফিক বড় বড় অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে।  এগুলিকে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি কে যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।

নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী অধিকাংশ মানুষই চাইছেন তাদের বাসস্থান হোক বিজ্ঞানসম্মত ( উপযুক্ত জল নিকাশি স্থান, শৌচালয় ব্যবস্থা, উপযুক্ত হাওয়া-বাতাস ব্যবস্থা)। এই সব কিছুতেই বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। 

8. কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান (Science in farming):

কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান এনে দিয়েছে যুগান্তর উন্নতি।বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন মৎস্য চাষ পশুপালন মৌসুমি সবজি চাষ খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অপরিহার্য ক্ষমতা দেখা যাচ্ছে।  উন্নত বীজ কীটনাশক রাসায়নিক সার ব্যবহার বহু গুণ বেড়েছে। 

Image: Pump is use in farming.
Image: Pump is use in farming.


 উন্নত যন্ত্রপাতি যেমন ট্রাক্টর, পামসেট, স্প্রে মেশিন, সবকিছুই কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিয়েছে। 

9. পরিবহন বিজ্ঞান (The science of transportation):

পরিবহন কাজে বিজ্ঞান অপরিসীম অবদান রেখেছে। ট্রেন, ট্রাম, রিক্সা, মোটর সাইকেল, জাহাজ, নির্মাণের ক্ষেত্রে উন্নত বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহৃত হচ্ছে পেট্রোল ডিজেল প্রাকৃতিক গ্যাসের মতন জ্বালানি।  এদের উৎস প্রকৃত প্রাকৃতিক হলেও বিশুদ্ধিকরন সংগ্রহ সংরক্ষণ কাজ কাজে লাগানো হচ্ছে বিজ্ঞানকে।  বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতির ফলে পরিবহন ব্যবস্থা আজ এত উন্নত হয়েছে যে বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় অতি সহজে যাতায়াত করা যাচ্ছে। জল স্থল অন্তরীক্ষে যাতায়াতের কোনো অসুবিধা নেই। 

10. যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিজ্ঞান (Science in the communication system):

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতিতে এসেছে বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইত্যাদির মত যন্ত্রপাতি। এই ব্যবস্থা অত্যাধুনিক হওয়ার বিশ্বের যে কোন অঞ্চলের মানুষ যেমন পাহাড়, পর্বত, ঘন জঙ্গল, আর জল, স্থল, অন্তরীক্ষে,যে স্থানে থাকুক না কেন পারস্পরিক যোগাযোগ করতে পারছে এই যন্ত্রের সাহায্যে। এছাড়াও যান্ত্রিক ব্যবস্থা এত উন্নত হয়েছে যে বিশ্বের যে কোন অঞ্চলে মানুষ তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি যেমন কথাবার্তা বলতে পারছেন তেমনি কে কিভাবে থাকছে, খাচ্ছে, কিভাবে হাত-পা পরিচালন করছে, ইত্যাদি সবকিছুই নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছি তা ভিডিও কলের (Video call এর)  মাধ্যমে।

বর্তমানে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট সিস্টেম, GPS  প্রভৃতির মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দুর্গম অপ্রতিরোধ্য অঞ্চলেও যোগাযোগ করা ও তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। 

11. শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান (Science in the field of education):

আধুনিক কালে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা বিজ্ঞানের ভূমিকা অগ্রগণ্য।  বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার শিক্ষাক্ষেত্রে করেছে প্রসারিত। বই-খাতা কাগজ-কলম আধুনিক শিক্ষার প্রধান উপকরণ এসেছে  বিজ্ঞানে জন্য। 

 বিজ্ঞানের প্রধান আবিষ্কার মুদ্রণ যন্ত্র বিজ্ঞানের দান।  বর্তমানে কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক নানান যন্ত্রপাতি পুস্তক নির্মাণের সহায়ক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত বই, পেন, খাতা, চক, মডেল, ব্ল্যাকবোর্ড, মানচিত্র, গবেষণার যন্ত্রপাতি, প্রজেক্টর, প্রভৃতি বিজ্ঞানের দান। 

12. চিত্র বিনোদন বিজ্ঞান (Image Entertainment Science):

মানুষের চিত্র বিনোদন ও বিজ্ঞানের অবদান কম নয়।  আধুনিক চিত্রবিনোদন এর সঙ্গী হলো বেতার দূরদর্শন কম্পিউটার ইত্যাদি।  খেলাধুলা প্রভৃতি দেখার সুযোগ মেলে এই দূরদর্শনে।  এইগুলি মানুষের চিত্র বিনোদনের মাধ্যমে তার ক্লান্তি দূর করে। 

 চিত্র বিনোদন শুধু ঘরের চার দেয়ালে নয় সিনেমা হল পার্ক সুইমিংপুল নাইট ক্লাব সব রকমের মিউজিয়ামে সরঞ্জাম এসব ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান চোখে পড়ার মতন।  তাই দৈনন্দিন জীবনে এক ঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে আসতে ও বিজ্ঞান করেছে।  মানুষকে দিয়েছে একমুঠো আনন্দের স্রোত। 

13. সৃজনশীল কাজে বিজ্ঞান (Science in creative work):

সৃজনশীল কাজে ও বিজ্ঞান যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।  যা মানুষের মস্তিষ্ক কল্পনার ফসল তার অনেকটাই এখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।  এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ কম্পিউটার গ্রাফিক্স ও ডিজিটাল।  শুধু যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে একজন চিত্রকর ডিজাইনার হয়ে উঠতে পারেন। অ্যানিমেশন (Animation) এরকম আরেকটি ক্ষেত্রে যার প্রয়োগ শিক্ষা প্রচার বিনোদন বিজ্ঞাপন সর্বক্ষেত্রে।

বিলুপ্তপ্রায় চিত্রকর্মের পুনরুত্থানের সংরক্ষণ, অপূর্ণ নানান সৃষ্টি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ও বিজ্ঞানের ভূমিকা স্বীকার্য। দৈনন্দিন জীবনে যে এবং অতীতের গর্ব আমরা করে থাকি তাকে বাঁচিয়ে রাখে বিজ্ঞান।

উপসংহার (Conclusion)

 আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানের উদ্ভাবন গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।  আমরা যেন তার দাস না হয়ে পড়ি।  আমরা যন্ত্রের ব্যবহার করলেও জীবনকে যেন যান্ত্রিক না করে তুলি। বর্তমান যুগে মানুষ বিজ্ঞানের আশীর্বাদ শতদল মাথায় রেখে জীবনকে সুন্দর করছে।  দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নব সৃষ্টির সম্ভাব্য মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে প্রমাণ করেছে যে বিজ্ঞানী প্রগতির মন্ত্র, সভ্যতার প্রাণ প্রদীপ। বিজ্ঞান যেন দৈনন্দিন জীবনে আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।  সুতরাং দৈনন্দিন জীবনের বিজ্ঞান আমাদের নানান ভাবে সাহায্য করেছে এবং সমাজকে ও বিশ্বকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 

গ্রন্থপঞ্জি (Bibliography)

১.  চক্রবর্তী বিদ্যা ও পাঠ্যবিষয়ের সংবেদ

২.  মুখোপাধ্যায় ও কবিরাজ ইউ 2017 বিষয়বস্তুর ধারণা ও সম্পর্ক

৩.  ধর দাস বিশ্বাস এস এস

This is the Practicum for 1st-semester B.ED in Bangla. we see daily life science and what is the definition of science. what is us of science in daily life? That is the Article. Thank you...

And you can follow your Facebook page.

Post a Comment

Previous Post Next Post